মিডিয়া জগতের আলোচিত মুখ ফারজানা ব্রাউনিয়া। স্বপ্ন ছিলো সংবাদ উপস্থাপিকা হওয়ার। স্বপ্নের পেছনে ছুটে পূরণ হল সেই স্বপ্নও। শুধু কি স্বপ্ন পূরণ, স্বপ্নকে ছড়িয়ে গেছেন তিনি। ২০০০ সালে বিটিভিতে সংবাদপাঠিকা হিসেবে যোগ দেন ফারজানা। ইংরেজি সংবাদ পাঠ করতেন। ২০০১ সালে বিটিভিতেই তার ডাক পড়ে ‘নবাগত’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার।
স্বামী লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সঙ্গে ফারজান ব্রাউনিয়া।
সংবাদপাঠ ও উপস্থাপনা তখন পাশাপাশি চলতে থাকে। ভিন্নমাত্রার উপস্থাপনা দিয়ে তারকাখ্যাতি পাওয়া হাতেগোনা যে ক’জন তারকা বাংলাদেশে আছেন, তাদের অন্যতম ফারজানা ব্রাউনিয়া।
কাজ করতে করতে এক সময় তিনি যুক্ত হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ে। চ্যানেলটির বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গেম শো লেটস মুভ, রাজনীতিভিক্তিক শো হাঁড়ি কড়াই রান্নার লড়াই, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ইত্যাদি।
ফরজানা শুধু জনপ্রিয় উপস্থাপকই নন, তিনি নির্মাতাও। ২০০৬ সালে নির্মাতা হিসেবে তার ‘চান্স ৫০-৫০’ আলোচিত হয়। ‘সেরাকণ্ঠ’র দ্বিতীয় আসরও তিনিই নির্মাণ করেন।
এ ছাড়া ফারজানা নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত বছরের শেষদিকে আলোচিত সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে বিয়ে করেন ফারজানা। ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর আকদ, ১৬ নভেম্বর বিয়ে নিবন্ধন হয় তাদের।
বিয়ের পর থেকেই বদলে গেছেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। তারকাখ্যাতি পাওয়া মানুষের এমন বদলে যাওয়াকে দর্শকেরা মিশ্রভাবে গ্রহণ করেছেন।
ফারজানা এখন নিয়মিত হিজাব ও বোরকা পরছেন। স্বামীকে নিয়ে ওমরা হজ করে এসেছেন। তার ফেসবুকের টাইমলাইনে সেসব দিয়েছেন।
ফারজানার এটি তৃতীয় বিয়ে। প্রথম স্বামীর ঘরে এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার।
গতকাল সোমবার ছিল ফারজানা ব্রাউনিয়ার ছেলে কাইসানের জন্মদিন। সেটি উদযাপন করে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
একাধিক ছবি দিয়ে ফারজানা লেখেন, প্রিয় আব্বুজী, কাইসান। আজ আমার প্রথম মা হবার দিন। জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনও বলতে পারিশ। অনেক ছোট ছোট শার্ট, জীবনের প্রথমবারের মতো, বানিয়েছি তোর জন্য। ২০০২ সালের ১৪ জানুয়ারি, দুপুর ৩টা বেজে ২০ মিনিটে প্রথম চোখের দেখা হলেও, তার বহু আগে আমার ঠিক জন্মের পর থেকেই ছিলি আমার মনে। তুই আমার সূর্য, আমার চাঁদ, আমার সাত রাজার ধন। দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে তুই এখন ১৭। তোর পুরো জীবনে একটি দিনও আমাকে একটুও কষ্ট দিসনি। অনেক ভালোবাসার স্মৃতি। আব্বুজী আমার জীবন সাথী। তুই হাতটা ধরে ছিলি বলেই জীবনের এতো যুদ্ধ জয়। মায়ের দোয়া সব সময় তোর সাথে। অনেক বড় মানুষ হবি তুই। তুই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছেলে। এবার শ্রেষ্ঠ মানুষ হবার পালা। অনেক ভালোবাসি আব্বুজী। -মা।’
গো নিউজ
পাঠকের মতামত